
মোঃ শান্ত রহমান সাগর,বকশিগঞ্জ(জামালপুর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (৩০মে) দুপুরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল শনিবার রাতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নুরুন্নবী।
নুরুন্নবী ধানুয়া এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে।জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন নুরুন্নবী। ওই দিন তার বকশীগঞ্জ থানায় হাজিরার দিন ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলার সব ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশরা থানায় হাজিরা দেন।
ধানুয়া কামালপুর পরিষদে কাজ থাকায় তিনি সেদিন থানায় যেতে পারেননি। চেয়ারম্যান পরিষদে আসতে দেরি করায় ইউপিসচিব আবদুল লতিফের কাছ থেকে থানার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন আরেক গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন নুরুন্নবী। দুপুর ১২টার দিকে পরিষদে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। পরে থানার প্রতিবেদন খাতায় ইউপি সচিবের স্বাক্ষর নেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।
একপর্যায়ে শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া ও মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গ্রাম পুলিশ নুরুন্নবী বলেন, পরিষদে কাজ থাকায় এবং চেয়ারম্যান আসতে দেরি করায় থানার প্রতিবেদন খাতায় আমি সচিব স্যারের স্বাক্ষর নিয়ে গ্রাম পুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দিই, এটাই আমার অপরাধ। তাই চেয়ারম্যান আমাকে গালাগাল ও মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছেন। এ কারণে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এই ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগ করতে গেলে চেয়ারম্যান কক্ষ তালা দেওয়া দেখতে পাই।
পরবর্তী মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলেও তিনি ফোন উঠাননি ,
এর আগেও ভিজিডি কার্ডধারীদের চাউল আত্মসাৎ
সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা করেন ১২ ইউপি সদস্য।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, মারধরের অভিযোগ পেয়েছি, এবং মামলাটি কোর্ট পাঠানো হয়েছে।