
মোঃ আবু জাফর।
বিশেষ প্রতিবেদন: হজ্জ মুসলমানদের জন্য একটি বার্ষিক ইসলামী তীর্থযাত্রা যা সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত হয়। মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ইবাদত। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম এবং তীর্থযাত্রীদের অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের সামর্থ্য থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক সকল মুসলমানের একবার হজ্জ পালন করতে হয়।
প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ মুসলমান হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ জন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে ।
মিনা থেকে আরাফাতের দুরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ বাস এবং অসুস্থ রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রয়েছে। হাজীদের মুখে উচ্চারিত হবে ” লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান
নিমাতা লাকা ওয়াল মুলুক, লা শারিকা লাক।” অর্থ: আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোন অংশীদার নেই। আমি হাজির। সব প্রশংসা এবং অনুগ্রহ শুধু তোমার । সব রাজত্ব তোমার। দুপুরে মসজিদে নিমরায় খুতবার মাধ্যমে শুরু হবে মূল আনুষ্ঠানিকতা।
হাজীরা আরাফাতের ময়দানে যোহর, আসর এবং মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে সেখানে রাত্রি যাপন করবেন। পরের দিন কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছোট বা মুন্ডন করবেন। ইহরামের কাপড়ের পরিবর্তে স্বাভাবিক কাপড় পড়ে মিনা থেকে মক্কায় যাবেন। সেখানে পবিত্র কাবা শরীফ তাওয়াফ করবেন এবং কাবা শরীফের সামনে দুইটি পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সায়ি করবেন। হাজীরা পুনরায় মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাবেন পাথর নিক্ষেপের জন্য। এরপর আবার মক্কায় বিদায় তাওয়াফ করে হজের কাজ শেষ করবেন।
সৌদি আরবে অবস্থানরত হাজীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকসহ ৩২ হাজার চিকিৎসাকর্মী কর্মরত রয়েছে। সৌদি রেড ক্রিসেন্টের তত্ত্বাবধানে প্রায় আড়াই হাজার চিকিৎসাকর্মী কর্মরত আছেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজীদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং তীব্র তাপমাত্রা থেকে মুক্তির জন্য সকল পরামর্শ দিয়েছেন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মহান আল্লাহ তা’আলা যেন হাজীদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনেন।