
কালিয়াকৈর গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন।শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা বেশি খারাপ। শহরে দিনে দুই থেকে তিনবার বিদ্যুতের লোডশেডিং হলেও গ্রামে বেশিরভাই সময়ই থাকে বিদ্যুৎহীন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪-৫ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না।
সরেজমিন জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প কারখানার উৎপাদন। যার ফলে লোকসানে পড়তে পারে শিল্প কারখানাগুলো।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা য়ায়।
জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধিক শিল্প কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকের আন্দোলন, ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। যার ফলে লোকসানে পড়তে পারে শিল্প কারখানাগুলো।
লোডশেডিংয়ের কারণে পোল্ট্রি খামারীরা পড়েছে বিপাকে। সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ওইসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ব্যাংক লোন নিয়ে তারা ব্যবসা করে আসছে।
এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাহত হচ্ছে। গরমের কারণে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের ডাইরিয়াসহ নানা রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। লোডশেডিংয়ে ঠিক মতো ঘুমাতে পারছে না এলাকার লোকজন।কালিয়াকৈরে ক্ষুদ্র (মুরগী) ব্যবসায়ীরা জানান, ধার-দেনা, ব্যাংক লোন নিয়ে এ ব্যবসা করতাছি। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক মুরগী মরে যাচ্ছে।এতে আমরা কি করে ঋণ পরিশোধ করব, পরিবার নিয়ে কিভাবে চলব।
সফিপুর এলাকায় এক ভুক্তভোগী জানান, অসহনীয় ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি ভয়াবহ বিদ্যুৎ লোডশেডিং ও লাইন মেরামতের নাম করে প্রতিদিন গড়ে ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।
কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার (ডিজিএম) মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রেডে সমস্যা, এরমধ্যেই বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকট, ভারতীয় আদানী গ্রুপের বিল বকেয়া। যার ফলে বিদ্যুতের সংকট কেটে উঠতে একটু সময় লাগবে।