
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইকবাল মিয়া।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নার্সের অবহেলা ও অদক্ষতায় নবজাতকের মৃত্যুর হয়েছে।
শনিবার রাতে গোপালগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে এঘটনা ঘটে।
প্রসূতির মা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা গোবরা ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের একরাম মোল্লার স্ত্রী মদিনা বেগম (৫০) অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শনিবার তার মেয়ে কেয়া খানম (২২) এর প্রসব বেদনা উঠলে বেলা সাড়ে তিনটায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই হাসপাতালের
গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স মুক্তি বাড়ৈ কেয়ার শারীরিক অবস্থা দেখে বলে তাকে নরমাল ডেলিভারি করানো যাবে। তবে সিজার করাতে অনেক টাকা লাগবে তাকে অল্প টাকা দিলে নরমাল ডেলিভারি করিয়ে দিবেন।
রাত পৌনে ৮ টায় কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তার সহকর্মী তৃপ্তি বৈদ্যকে সাথে নিয়ে প্রসূতি ওয়ার্ডের লেবার কক্ষে নিয়ে যায় কেয়া বেগমকে। এসময় সন্তান প্রসবের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ৩০ মিনিট পর প্রসূতির ইপিমিউটোমী (গোপনাঙ্গের দুই পাশ কেটে) বাচ্চা বের করে আনে। ততক্ষনে নবজাতকের মৃত্যুর হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বলেছিলো ডেলিভারির সময় একজন চিকিৎসক থাকবেন। অথচ ওই সময় সেখানে কোন চিকিৎসক ছিলো না এবং পরামর্শও নেয়নি। সেখান চিকিৎসক থাকলে নবজাতকের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর হতে পারতো । তিনি ওই নার্সের অবহেলা জন্য শাস্তি দাবি করেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই হাপাতালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, একজন নার্স চিকিৎসক ছাড়া কোন প্রসূতিকে লেবার কক্ষে নিতে পারেনা। ওই নার্সের উচিত ছিলো কোন চিকিৎসকে উপস্থিত রেখে ডেলিভারি করানে। সামন্য কিছু টাকার জন্য এত বড় ঝুঁকি নেয়া ঠিক হয়নি। ওই ওয়ার্ডের কয়েকজন নার্সের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে এধরনের কাজ করার অভিযোগ উঠে যা ইতোমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে অবহিত করা হয়েছে।
হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের নার্স মুক্তি বাড়ৈ বলেন, আমি টাকার জন্য এটা করিনি। তবে ডেলিভারির সময় চিকিৎসক না রাখা আমার ঠিক হয়নি।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. জিবিতেষ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া সন্তান প্রসব করানোর কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ একাজ করে সে দায় দায়িত্ব তার নিজের।