
সদরুল ইসলাম মাসুম,কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)নিজস্ব প্রতিনিধি।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর হাতে মাওলানা রুহুল আমিন নামে এক ইমাম খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইমামের প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামে একটি ভাড়া বাসা থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সব টাকা ওই নারী তার স্বামীর কাছে দিতেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিল না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো।
গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম রুহুল আমীন অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় স্ত্রীর। শুক্রবার রাতের কোনো একসময় রুহুল আমীনকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন স্ত্রী নাদিয়া। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন স্ত্রী। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন তিনি।
এরপর শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত রুহুল আমিন গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের লামা ডেমি গ্রামের শহীদুর রহমানের ছেলে। তিনি গোলাপগঞ্জের হিলালপুর একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্বে ছিলেন।
এরপর বিকেল ৫টার দিকে এলাকাবাসী বাসার খাটের নিচ থেকে রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, রুহুল আমিনকে অচেতন করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।