
আব্দুল হান্নান,শাজাহানপুর(বগুড়া) শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি।
আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা ব্যতীত দেশের ৭টি বিভাগে শুরু হতে যাচ্ছে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে বিনা মূল্যে এ টিকার আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
জরায়ু ক্যান্সারে মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতিবছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে হাজার হাজার নারী আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা এবং টিকা নিতে উৎসাহ প্রদানে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার টেলি মেডিসিন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জরায়ু মুখের ক্যান্সার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়া আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোতারব হোসেন বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার বাংলাদেশের ১৫-৪৫ বছরের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার। বাংলাদেশে প্রতিদিন ২৮ জন নারী মারা যাচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস নামক (এইচপিভি) নামক একটি ভাইরাস দ্বারা দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ হলে এই রোগ হতে পারে। জরায়ু মুখ ক্যান্সার দ্রুত রোগনির্ণয় করলে এর প্রতিকার সম্ভব। এইচপিভি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়। ৯-৪৫ বছর নারীরা এই ভ্যাকসিন নিতে, পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯৯% কমিয়ে দেয়। শুধুমাত্র অসচেতনতার কারণে প্রতি বছর অনেক নারী এ প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে ৫ কোটি নারীর এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি এইচপিভি কী, কীভাবে এটি সংক্রমিত হয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার সৃষ্টি করে, এটি প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা, অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকা নিবন্ধন করার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, ১৮ দিনব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং বাকি দিনগুলোতে গ্রুপভিত্তিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনা মূল্যে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জেলা শাখা, বগুড়া সভাপতি মোঃ ছাইফুল ইসলাম,আতাইল ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক,মানকদিপা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার আবুল কালাম আজাদ, বড়পাথার হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিন তমিজউদ্দীন,বৃ-কুষ্টিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আহসান হাবীব, মিফতাহুল ফালাহ তাহফিযুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক আব্দুস সালামসহ অনেকে।