বাড়িঢাকা বিভাগগাজীপুর জেলাকৌতুক অভিনেতা রবীন্দ্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

কৌতুক অভিনেতা রবীন্দ্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ

কৌতুক অভিনেতা রবীন্দ্র দাস মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন। রাত ৮টায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার শৈলাখালী গ্রামে তার বাড়ি। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গবার নিজ বাড়ীতে তিনি দেহ ত্যাগ করেন।

একজন কৌতুক অভিনেতা হয়েও তিনি নিজেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রাখত। কখনো খেয়া পাড়ের মাঋি,আইসক্রিম বিক্রি,চানাচুর মুড়ি বিক্রি ,মিষ্টির দোকান সহ বিভিন্ন পেশার জীবন জীবিকার জন্য তিনি কাজ করেছেন। কাজের পাশাপাশি রবীন্দ্রের সেই চিরচেনা রূপ কৌতুক অভিনেতার রংঢং লেগেই থাকত।

শৈলাখালী গ্রামের মোতালিব সরকার জানান, রবীন্দ্র একজন অসাধারন প্রতিভাবান লোক ছিলেন ।পড়াশোনা তেমন জানতেন না । তবে যে কোন বিষয়ের উপরে ছন্দ মিলিয়ে গান কিংবা কবিতা বলতে পারতেন। যে কোন অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়ার মত প্রতিভা তার মধ্যে ছিল। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ সদালাপী, সৎ ও চরিত্রবান ছিলেন।

বিভিন্ন ধর্মীয়, ,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্হানে তিনি অংশ গ্রহন করেছেন। প্রায় প্রতিদিন ই তার আমন্ত্রণে যেতে হতো কিন্ত কখনো অনুষ্ঠান করার জন্য টাকা চাইত না।

উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা যা বকশিস দিত, তা নিয়ে মনের আনন্দে বাড়ী ফিরে আসত। সে প্রতিনিয়ত তার কৌতুক অভিনয় মনের মাঝে জাগ্রত রাখত। শুধু ঘুমানোর সময় নিরব থাকত প্রতিভাবান সদা হাস্য উজ্জ্বল গুণী এই শিল্পী।

কালিয়াকৈর উপজেলার শৈলাখালীর বাসিন্দা তার বাবা মৃত খগেন্দ্র দাস ছেলে রবীন্দ্র দাস ।মৃত্যু কালে তার সহধর্মিনী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

রাতে তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়ে। শৈলাখালী গ্রামের বাড়ীতে শত শত মানুষ শেষ বারের মতো দেখার জন্য ভীড় করেন। বুধবার হিন্দু ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তার দাহ সম্পন্ন করা হয়।

 

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments