
কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি;
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের প্রধান প্রবেশপথের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবদল নেতা। তিনি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও ভড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার মাথায় রক্তাক্ত জখম। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হাই সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মহম্মদকে সভাপতি করা হয়। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবড়া চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা। মহম্মদকে সভাপতি করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাড এ কারণে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোলাম মহম্মদ কয়েকশত নেতাকর্মী নিয়ে বাঁশগ্রাম কলেজে ঢুকতে গেলে নুরুল হকের সমর্থকরা প্রথমে বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় তাদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যুবদলের নেতা আনোয়ার হোসেন মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হলে সহকর্মীরা উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ভোকেট নুরুল ইসলাম। তিনি বাঁশগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. জাহিদুজ্জামান বলেন, ২৭ অক্টোবর গোলাম মহম্মদকে সভাপতি করে চিঠি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে সভাপতির প্রতিপক্ষরা নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আজ সভাপতি কলেজে ঢুকলে কলেজের বাইরের সড়কে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।এ বিষয়ে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, অন্য ইউনিয়নের লোক দিয়ে কলেজের সভাপতি করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কীভাবে তাকে সভাপতি বানানো হলো সেটি জানতে কলেজে ঢুকতে গেলে প্রতিপক্ষরা হামলা করেছে। এতে আমার যুবদল নেতা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মহম্মদ বলেন, কলেজে ঢুকতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কে কাকে মেরেছে তা আমি জানিনা।
বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক ইকরামুল হক বলেন, কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় একজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।