বাড়িঢাকা বিভাগগাজীপুর জেলাগাজীপুরের এ তান্ডব দেখার কি কেও নেই

গাজীপুরের এ তান্ডব দেখার কি কেও নেই

মোঃ রমজান আল মাহমুদ ,গাজিপুর সদর (গাজিপুর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরেরর ভিবিন্ন উপজেলা গাজীপুর সদর, শ্রীপুর,কালিয়াকৈর সহ অন্যান্য উপজেলায় চলছে উচ্ছেদ অভিযান। জানা যায় আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর যারা ঘর-বাড়ি তুলেছিল তাদের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে এবং মিডিয়ায় শিরোনাম হয় আগস্টে যারা বন উজাড় করে ঘর-বাড়ি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান। কিন্তু বাস্তবতা হল বন বিভাগ ঢালাওভাবে সকল ঘর-বাড়ি তারা তাদের অভিযানের অংশ হিসেবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় উনিশশো শতকে তৈরি করা ঘর-বাড়ি এবং এ সকল অঞ্চলের মানুষজনের সারা জীবনের অর্জিত  সম্পদ ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ ইব্রাহিম বলেন এ বসত-ভিটায় তার বসবাস ৩০ বছরের উর্ধ্বে, এখানেই তার জন্ম।বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এখানেই।নতুন ঘর উচ্ছেদের নামের সাধারণ মানুষদের যে পরিমান হয়রানি ও ক্ষতি করা হচ্ছে তার চেয়ে মেরে ফেলাও ভালো ছিল বলে তিনি বলেন।

গাজীপুরের এ উচ্ছেদ অভিযানের শেষ কী?তারা তো এ দেশের নাগরিক।তাদের যদি থাকার অধিকার নাই থাকে তবে তাদের জন্ম নিবন্ধন, এন আই ডি কার্ড,চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি তারা কেন দিল? প্রশ্ন এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ জুনায়েদ আল হাবীব।
অন্যদিকে এসব ধ্বংসলীলার শেষ কোথায় জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি জানতে চান এসকল অসহায় মানুষদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এ হয়রানির উদ্দেশ্য কী?এ সকল মানুষদের ক্ষতি করে তারা কি সংকেত দিচ্ছে।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যক্ষদর্শী ইন্জিনিয়ার মো সোহাগ মিয়া বলেন,এ কর্তৃপক্ষ যা করছে তা একজন রোহিঙ্গাদের চেয়েও অপমানজনক। এ দেশে বিশ লক্ষ রোহিঙ্গা পাহাড় ধ্বংস করে যদি দিব্বি সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে তবে এ দেশের সরকারি জমিতে থাকার অধিকার কি আমাদের নেই।যদি আমাদের অধিকার নাই থাকে তবে আমাদের নাগরিকত্ব তুলে নিয়ে দেশ থেকে বিতারিত করুন।প্রত্যক্ষদর্শী আরেকজন মোঃ রমজান আল মাহমুদ বিবিএ বলেন কর্তৃপক্ষ যে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করছে তার কি কোন সমাধান নাই,তিনি আরও বলেন মানুষের সারাজীবনের সঞ্চয় তারা চোখের পলকে ধ্বংস করে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এ করুন অবস্থা দেখার কেও নেই বলার কেও নেই।কোন আলোচনা বা সমাধান না করে মানুষের এসব ক্ষতি কি আদৌ কোন সফলতা এনে দিবে।আরেকজন ভুক্তভোগী বেপারীপাড়া জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আইয়ুবী হুজুর কস্তুরি বলেন তাদের এ অভিযান বা ধ্বংসলীলা আল্লাহতালা সহ্য করিবেন না।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায় তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments