
আহসান হাবিব তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ক্রমশ বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গত তিনদিন ধরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ডের পর ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে শীতের কনকনের অনুভূতি। তবে শীত উপেক্ষা করেই নিজনিজ কর্মে যেতে দেখা যায় পাথর শ্রমিক, দিন মজুর, চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষদের। ভোরে শাকসবজি তুলতে দেখা যায় দেখা যায়। নবান্নের ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষানীরাও।
স্থানীয় সবজি চাষি দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী জানান, ঠান্ডা পড়ে গেছে। ভোরে খেতে পাতা ও ফুলকপি, ধনিয়াপাতা ও লাউ শাক, লাউ তুলতে গেলে গাছের পাতায় জমা শিশিরের স্পর্শে বেশ বরফের মতো লাগে। হাত অবশ হয়ে আসে। তবে সকাল ৯টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে। রাতে কম্বল কিংবা কাথা নিতে হয়। বিশেষ করে আমাদের উত্তরের উপজেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারী (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।
গৃহিনীরা জানান, ভোরে ঘরের ফ্লোর ও আসবাবপত্র বরফ হয়ে উঠে। কাজকাম করতে অসুবিধা হয়ে যায়। এখনই এতো ঠান্ডা, সামনে তো কঠিন ঠান্ডা আসছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঠান্ডা অনেকটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
শীতে বেড়েছে জ্বও, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ তেঁতুলিয়া হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত তিনদিন মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।