
মুহাম্মদ সুমন ভূঁইয়া, নোয়াখালী বিশেষ প্রতিনিধি –
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ছনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন তৌহিদুল ইসলাম অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকার শর্তে ও চাকুরী বহাল তবিহতে রয়েছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলাম ছনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন থেকে চাকুরী করে আসছেন, নৈশ প্রহরীর দায়িত্বের কারণে কিছুদিন আগে সে রাতের বেলায় স্কুলে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটায়, পরে স্থানীয় ভাবে সমাধান করে প্রথমবারের মত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সে থেমে থাকেনি সন্ধ্যা নামলেই সে মাদকসেবিদের নিয়ে স্কুলে আড্ডা দেওয়া শুরু করে।
সর্বশেষ গত ( ২রা ডিসেম্বর) সোমবার, তৌহিদ স্কুলে মহিলা শিক্ষকদের বার্থ রুমে ঢুকে টিস্যু পেপারের বক্সে মোবাইলের গোপন ক্যামরা চালু করে রেখে আসে। পরক্ষণে একজন শিক্ষিকা বার্থরুমে ঢুকে মোবাইলটি দেখতে পেয়ে সহকর্মীদের বিষয়টি অবগত করে মোবাইলটি জব্দ করে রাখেন। ঐ দিন প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুল আলম ছুটিতে ছিলেন, ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসলে তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক তৌহিদের স্ত্রী ও মাকে স্কুলে ডেকে পাঠায় এবং বিষয়টি অবগত করে, তৌহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন তৌহিদের মা তাকে জুতা পেটা করে এবং সকল শিক্ষকের কাছে পায়ে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করানো হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোবাইল টি আমি জব্দ করেছি, তার তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে, একটি মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত। সে খুব দরিদ্র। মানবিক কারনে তাকে প্রাথমিকভাবে ক্ষমা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, এই ব্যাপারে আমাকে স্কুল থেকে অবগত করা হয়নি, আমি আমার সহকারী শিক্ষ্যা অফিসারকে স্কুলে পাঠিয়ে তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, এই বিষয়ে কথা বলতে জেলা শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী কে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় নি।