বাড়িবাংলাদেশেসিলেট বিভাগধর্মপাশায়, খলাপাড়া বসতবাড়িতে চুরি, লুটপাট,ভাংগচুর ও হামলার মামলার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন

ধর্মপাশায়, খলাপাড়া বসতবাড়িতে চুরি, লুটপাট,ভাংগচুর ও হামলার মামলার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন

রবি মিয়া  ধর্মপাশা সুনামগঞ্জ নিজস্ব প্রতিনিধি 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরস ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে চুরি, লুটপাট, হুমকি এবং ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বাদশাগঞ্জ বাজারে হাওর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোঃ স্বপন বলেন, “১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমার অনুপস্থিতিতে  মোঃ খাইরুল (৪৫) এবং তার সহযোগী দলবল আমাদের বাড়িতে গভীর রাতে  ঘরে ঢুকে আমাদের  নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে। থানায় অভিযোগ করার পর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে মোঃ খাইরুর দলবল নিয়ে স্বপনের বাড়িত উদ্দেশ্যে প্রণোদিতবাবে ঘরের ভেতরে ঢুকে  পরিকল্পিতভাবে শোকেজ থেকে নগদ ৯০হাজার টাকা, দুটি স্বর্নের কানের দুল যার আনুমানিক মূল্য ৩০ হাজার টাকা, ও একটি নোকিয়া মোবাইল সেট যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩হাজার টাকাসহ মোট ১লক্ষ ৩৩হাজার টাকার মালামাল লুট করে। মালামাল চুরি করে যাওয়ার সময় শোকেস ও ড্রেসিং টেবিলের গ্লাস ভাঙ্গার শব্দে স্বপনের স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। স্বপনের স্ত্রী তাদের চিনতে পারায় পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামবাসীরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিনতে পেরেছে বলে জানা গেছে।

মোঃ স্বপন অভিযোগ করেন, “আমরা বিচার পাওয়ার আশায় আদালতে মামলা করেছি।”

পরিবারটি আশা করছে, গণমাধ্যমের প্রচারের মাধ্যমে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments