
মোঃ কামরুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রামুর নেতৃত্বে ৮ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
আজ সোমবার সকাল এগারোটায় রামু বাইপাস খালেকুজ্জামান চত্বরে সংগঠক আহসান যুবায়ের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে রামু থেকে যেসব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন সবাই অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। উক্ত কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জাতীয় নাগরিক কমিটির রামু এবং জেলার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
৮ দফা দাবীতে ছাত্র-জনতার ‘অবস্থান কর্মসূচি”
৮ দফা দাবীঃ
১। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর পদত্যাগ, স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টাদের দপ্তর বদল। যাঁরা ব্যর্থ তাঁদের সরিয়ে ছাত্রদের পরামর্শে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করে বিপ্লবীদের দিয়ে সরকার পুনর্গঠন করা।
২। জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারী, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামিলীগ সহ সকল অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা।
৩। “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র” দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
৪। ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন , ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডেমো নির্বাচনের সাথে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার আইন সংস্কার করে দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির স্থাপন করতে হবে।
৬। রাষ্ট্রের সর্বস্তরে এখনো বহাল তবিয়তে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসর আমলাদের দ্রুত চিহ্নিত করে অপসারণ করতে হবে।
৭। ২০১২ সালে রামুতে, ২০১৬ সালে নাসির নগরে সহিংসতাসহ বিগত সরকারের সময়ে সংঘটিত সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা।
৮। সীমান্তে গরু ও মাদকসহ সকল ধরণের চোরাকারবার বন্ধ ও সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মঈনুর রশিদ জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির সাথে স্থানীয় পর্যায়ের সমস্যা নিরসন এবং ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সদা প্রস্তুত থাকবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রামু।