বিয়ের আট বছর হয়ে গেলেও সন্তান হচ্ছিল আদুরী বেগম আশা ও মনিরুজ্জামান বাঁধন দম্পতির। সন্তানের আশায় চলছিল নানা চিকিৎসা। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের বাঁকা কথায় জীবন যখন অতিষ্ঠ, তখনই আসল সুখবর। অবশেষে তাঁদের মনের আশা পূরণ হয়েছে। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আদুরী বেগম আশা নামের ওই নারী। এর মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং একজন ছেলে সন্তান। দম্পতির বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) গাইনি ওয়ার্ডে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন চার সন্তানই সুস্থ আছে। তবে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা সদরের নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে ৮বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশার। দীর্ঘ ৮ বছরেও তাদের কোনো সন্তান জন্ম হয়নি। পরে চিকিৎসকের চিকিৎসায় আদুরী বেগম গর্ভবতী হয়ে পড়েন। আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায় তাঁর গর্ভে চার সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে চারটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
চার সন্তানের বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন বলেন, ‘বিয়ের আট বছর হলেও সন্তান না হওয়ায় কষ্টে ছিলাম। সন্তানের জন্য অনেক আশা ছিল। মানুষের বাঁকা কথাও শুনতে হয়েছে। অবশেষে আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনি বিভাগ) ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, মা ও চার সন্তানই সুস্থ আছেন। গর্ভধারণের আট মাসের মাথায় চার নবজাতকের জন্ম হয়েছে। তারমধ্যে শুধু ছেলে বাচ্চাটির ওজন একটু কম রয়েছে। তবে বাকি তিন কন্যার ওজন ঠিক রয়েছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আশা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর তাঁর শরীরের অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে।