
কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)নিজস্ব প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে নিহত আল-আলমিন । গতকাল শুক্রবার সন্ধায় পুটিয়া সীমান্তের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কাম থানা এলাকায় বিএসএফের রাইফেলের রাবার গুলিতে নিহত হয় আল- আমিন। আল আমীনের বাবা সুলতান মিয়া (৮০) তিনি ও চলা ফেরা করতে সমস্যা হচ্ছেন।
আল-আমিন বিয়ে করেছে সাত মাস হলো।স্ত্রী তারিন(১৯) ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।তারিনের চোখে মুখে উৎকন্ঠা সন্তান ও তার ভবিষ্যত নিয়ে। তারিন সারা রাত কান্না করে এখন পাথরের মতো দৃঢ় চিত্তে ফ্যাল ফ্যাল করে বসে আছে। কেউ প্রশ্নো করলে উত্তর দেয় না।
মা জাহানারা বেগম মাতম করছে। বার বার বুক চাপরাচ্ছে একি হলো আমার। আল- আমিনের মামাতো ভাই প্রবাসি সোহাগ মিয়া জানান,গরুর রশি ছিড়ে ভারতের ভেতরে ঢুকে যায়। গরুর পিছু পিছু ছুটে যায় আল আমিন। কখন যে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় হয়তো আল আমিন টেরই পায়নি। খুব কাছ থেকেই বিএসএফ তাকে গুলি করেছে বলে সোহাগের ধারনা। না হয় রাবার বুলেটে তার মৃত্যু হতে পারে না ।
আল-আমিনরা চার ভাই তিন বোন। বড় ভাই সুমন মিয়া বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে সকালে বাড়ি এসে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
বাড়ির পাশেই বিজিবি টহল দিচ্ছে। সার্জেন্ট সোহেল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলা যাবেনা বললেও আল-আমিন সম্পর্কে বলেন-গতকাল শুক্রবার সন্ধায় আমরা জানতে পেরেছি আল আমিনকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ তাকে ত্রিপুরার বিশালঘর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পূনরায় রাতেই আমরা খবর পায় আল আমিনের মৃত্যু হয়েছে।
৬০ বিজিবির অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:সামিউল ইসলাম ৬০ বিজিবির বরাত দিয়ে বলেন, আল আমিন ভারতের সীমান্তের ২০৫০/৩ থেকে ২০ গজ ভেতরে ঘোরাফেরা করলে বিএসএফ তাকে সন্দেহজনক ভাবে গুলি করে। পরে বিশালঘর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।মৃত্যু ব্যক্তির মরদেহ ৪৯ নং কাম থানা বিএসএফ ক্যাম্পের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে দুই দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার লাশ বাংলাদেশের বিজিবি, ও পুলিশের কাছে ২২ ঘন্টা পর শনিবার বিকেলে লাশ হস্তান্তর করেন, ভারতের বিএসএফ।