বাড়িরংপুর বিভাগনীলফামারী জেলাডিমলা সরকারী মহিলা কলেজ চলাচলের রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজ চলাচলের রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মোঃমফিজুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি নীলফামারী:
নীলফামারী জেলার ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজ যাতায়াতের রাস্তার  সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংস্কার কাজে ব্যবহৃত উপকরণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় টেকসই ও স্থায়িত্বতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে । এছাড়া রাস্তাটি সংস্কারে উঁচু- নিচু সমান না করে দায় সারা কাজ করায় কলেজের ছাত্রী বা পথচারীরা চলাচলে যেকোনো সময়  দুর্ঘটনা ঘটার আসুসম্ভাবনা রয়েছে । 
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডিমলা বাজারের আলম প্লাজা হইতে ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজ  চলাচলের  জন্য পাকা রাস্তাটি সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা রাস্তাটির ৩৫৫ বর্গফুট রাস্তা সংস্কারের কাজ  শুরু হয় গত ১ সপ্তাহ আগে । সংস্কার কাজের ঠিকাদার  স্থানীয় কিছু দলীয় লোকজন কে ম্যানেজ করে প্রভাব খাঁটিয়ে নির্মাণ কাজের  সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজ খেয়াল খুশিমত নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাতের আধারে রাস্তার সংস্কার কাজ করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। চলতি অর্থবছরে নীলফামারী জেলা পরিষদ এর  আওতায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩৫৫ বর্গফুট রাস্তার সংস্কার কাজটি আলম প্লাজা  হইতে ডিমলা সরকারি মহিলা মহিলা কলেজের  বারান্দা পর্যন্ত  চলাচলের এক মাত্র রাস্তাটি সংস্কার কাজের জন্য নীলফামারীর ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান ছোট ডাবলু বরাদ্ধ পান। গত সাত দিন পূর্বে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি রাস্তাটির সংস্কার  কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসী ফজলুর রহমান ও ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাতের আঁধারে দ্রুত সংস্কার  কাজ শেষ করেন। নিম্নমানের খোয়া,মাটি ও বালু মিশ্রিত খোয়া যাহাতে খড়কুটাও মিশ্রিত হওয়ায় ব্যাবহারে অনুপযোগী হওয়া সত্বেও সংস্কার কাজে ব্যবহার করা  হয় । রাস্তাটি সংস্কারের পর পূর্বে চেয়েও  মান খারাপ ও উচু-,নিচু হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরসিসি ঢালাইয়ে ব্যবহৃত যে পরিমাণ রড ব্যবহার করার কথা তা না করে নামে মাত্র রড ব্যবহার করা হয়েছে। কাজে দায়িত্ব রত কার্য সহকারী মোঃ রাকিব কাজে অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি একা কোন দিকে সামলাবো আমার কথা কেউ মানতেছে না আমি নিরুপায়। আমি চুক্তিভিত্তিক কাজ করি আমার করার কিছু নেই  । এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  বাবু দীপঙ্কর কুমার রায় সাথে কথা বললে তিনি জানান,কাজে অনিয়ম হলে বিল দেওয়া হবে না। রাস্তার সংস্কার কাজের অনিয়মের বিষয়ে  ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজ যাতায়াতের রাস্তাটি সংস্কারের  কাজটি নীলফামারী  জেলা পরিষদের। আমি নামে মাত্র সদস্য আছি। এটা দেখা শোনার দায়িত্ব জেলা পরিষদের, আমার এখানে করার কিছুই নেই। 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments