
এ নৌরুট দিয়ে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তোড়জোড় শুরু হয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের। এরই ধারাবাহিকতায় বাঁশবাড়িয়া ঘাটে বেড়িবাঁধ থেকে সাগরের দিকে ব্লক দিয়ে প্রায় ৮০০ মিটারের রাস্তা নির্মাণ করা হয়। গুপ্তছড়া ঘাটে নির্মাণ করা প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা। আরও ২০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হবে এ ঘাটে। নির্মাণ করা হচ্ছে ফেরির জেটি, গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ডসহ অন্যান্য অবকাঠামো। ইতোমধ্যে উভয় ঘাটের জন্য পন্টুন চলে এসেছে। গত ৫ মার্চ ফেরি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করে পরবর্তীতে গুপ্তছড়া ঘাটসহ উভয় পাশে জেটির কাজ শেষ না হওয়ায় পিছিয়ে যায় সন্দ্বীপবাসীর বহুল আকাঙ্ক্ষিত সার্ভিস শুরু হওয়া।
শনিবার বেলা ১১ টায় বাঁশবাড়িয়া ঘাট হয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ঝটিকা সফরে এসে ফেরি চলাচলের অবকাঠামোগত কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ উচ্চপদস্থ্য কর্মকর্তারা। এসময় কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে আগামী ২৪ মার্চ ফেরি চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর আগে কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি বাশবাড়িয়া থেকে গুপ্তছড়া নৌরুটে চালিয়ে দেখা হবে। যাতে করে উদ্বোধনের আগেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা যায়। বিশেষ করে জোয়ার ভাটার সময়ে ফেরি কখন যাত্রা শুরু করবে সেটি ঠিক করে নেয়া যায়। এসময় গুপ্তছড়া ঘাটে ব্রিজের মাথায় ভাটার সময় যাত্রীরা কাদার মধ্যে যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা থেকে পরিত্রাণের জন্য যাতে স্টিমার ও স্পিডবোটও যেন ভাটার সময় ফেরির জেটিতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান।