
মো নাজমুল হোসেন জিয়ানগর (পিরোজপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি :
স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্কে বাঁধা দেওয়ায় মিথ্যে নাটক সাজিয়ে স্বামী ও শ্বশুরের নামে ধর্ষণের মামলা দিয়েছে তামান্না নামে ঐ গৃহবধূর মা হাজেরা বেগম।
পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার ৪নং ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ৮নং দক্ষিণ ভবানীপুর ওয়ার্ডের গাজীবাড়ি এ ঘটনাটি ঘটে।
রবিবার (১৬ মার্চ)দিনব্যাপী নানা নাটকীয়তা শেষে সন্ধার পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি এজাহারভুক্ত হয় বলে
নিশ্চিত করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মারুফ হোসেন। যাহার মামলা নং জি আর ১৪
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর ওয়ার্ডের দুলাল গাজীর পুত্র হৃদয় গাজী (২১)এর সাথে একই গ্রামের এচাহাক তালুকদারের মেয়ে তামান্না আক্তার (১৫ )এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তামান্নার বাড়িতে হৃদয় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের একপর্যায়ে চন্ডিপুর কাজীর সহায়তায় গ্রাম্য সরায় বিবাহ সম্পন্ন হয়,পরবর্তীতে তারা কোর্ট এফিডেফিট করেন।
তামান্না ও তার পরিবার লোভী প্রকৃতির হওয়ায় এবং স্বামী হৃদয় গাজী গরীব হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বশিরের ছেলে মোরছালিনের সাথে তামান্না তার মায়ের সহযোগিতায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তামান্না ও তার পরিবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে এহেন কর্ম থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি আরোপ করলে, তামান্না ও তার মা হাজেরা বেগম ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার জন্য কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় হৃদয় ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য নানা ফন্দি খোকড় আঁকতে থাকে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে হাজেরা বেগমের নির্দেশমতে মন্টু ও তার গং য়েরা হৃদয় ও তার পিতা দুলালকে আপস মীমাংসার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে মিথ্যে অভিযোগে হৃদয় ও তার পিতা দুলালকে থানায় হস্তান্তর করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় ঢুকিয়ে গ্রেফতার করেন। সোমবার সকালে থানা কর্তৃপক্ষ পিতা-পুত্রকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১টায় হৃদয়ের বাড়ির সামনের সড়কে কয়েকশত লোক মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ও অনতিবিলম্বে পিতা-পুত্রকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হৃদয়ের পরিবার ও এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।