
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে গিয়ে এক কিশোরীকে ঘুরতে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা
ঘটেছে। শুক্রবার রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ফলে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়।
শিবপুর উপজেলার বাঘাব গ্রামের হারুন দেওয়ানের ছেলে আশিক দেওয়ান শান্ত (১৯) ও পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মোয়াজ্জেম কাজীর ছেলে দিনার কাজী (২২) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এদের মধ্যে পুলিশ শান্তকে আটক করেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূএে জানা যায়, নরসিংদীর ভেলানগর এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত আশিক দেওয়ান শান্তের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার ওই কিশোরী শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকালে বোনের বাড়ি বেড়ানো শেষে শান্তর সাথে পাশ্ববর্তী চরসিন্দুর ব্রীজে ঘুরতে যায়। সেখানে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেলে তারা চলনা গ্রামে শান্তর বন্ধু দিনার কাজীর বাড়িতে অবস্থান নেয়।পরে দুই বন্ধু পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে গেলে শান্ত কিশোরীকে শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের দেখে ডাক্তারের সন্দেহ হলে ডাক্তার নরসিংদী সদর থানা পুলিশকে অবহিত করে। ডাক্তার ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে অভিভাবকদের জানানো হয়। পলাশ থানার ঘটনা হওয়ায় তাদের পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান , সকালে দুইজন যুবক এক কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তারা জানায় কিশোরীটি বিষ খেয়েছে। ওদের আচরণে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় কিশোরীর সাথে আলাদা কথা বললে সে ধর্ষণের কথা জানায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সাথে থাকা একজনকে আটক করে কিশোরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান , প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। এ কারনে অভিযুক্ত শান্তকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে রবিবার মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর শান্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।