
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বখাটে কর্তৃক শাস্বরোধে হত্যা করা নিঃস্পাপ চাঁদের মত সুন্দর মেধাবী কলেজ ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকার বাড়ি পরির্দশন করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাছুম আহম্মেদ ভুইয়া।
তিনি আয়েশার শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দেন। এসময় নিহত আয়েশার ভাই ও বোন পুলিশ সুপারের নিকট সঠিক বিচার দাবী করেন। পুলিশ সুপার আয়েশার পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যেসে বলেন, এমন অমানবিক হত্যাকান্ডের সঙ্গে যে ব্যাক্তিই জড়িত থাক পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আইনে আওতায় আনবে।
ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মুল ঘাতক রনি ও জাহিদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মহদোয় এসময় আয়েশার পরিবারকে সকল প্রকার আইনী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। আয়েশা যে রুমে হত্যাকান্ডের স্বীকার হন পুলিশ সুপার সরেজমিনে সেই রুমও পরির্দশন করেন। হত্যাকারী রনি ও জাহিদ কিভাবে দেওয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে পাঁচবিবি থানার ওসি পুলিশ সুপারকে ঘটনার বর্নণা দেন।
গতশুক্রবার রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে(২২) ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মাঝিনা গ্রামের শ্রী সংকর মহন্তের ছেলে শ্রী রনি মহন্ত (৩০) ও খোরশেদ মন্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান(৩২) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব জানান, রনি ও জাহিদকে আটকের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশের নিকট প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে আয়েশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওইদিন রাতে আয়েশা বাড়িতে একাই ছিল সেই সুযোগে লম্পট রনি ও জাহিদ তার রুমে প্রবেশ করে পরনের পাজামা মুখে গুজে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে শিশু ও নারী নির্যাতন এবং হত্যা মামলায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ সুপার মহদোয়ের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরির্দশনে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তরিকুল ইসলাম, পাঁচবিবির সিনিয়র সার্কেল অফিসার ইশতীয়াক আলম, পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুশান্ত কুমার রায়, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও কুসুম্বার ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল, আটাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু চৌধুরী সহ আয়েশার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী।