
মনোহরদী(নরসিংদী)নিজস্ব প্রতিনিধি
গত ২ মাস আগে মনোহরদী থানাধীন একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হাতিরদিয়ার চঙ্গভান্ডা এলাকায় এক মর্মান্তিক ডাকাতির ঘটনায় মনোহরদী থানা পুলিশ তথা সারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর প্রশ্ন উঠে! ডাকাতির ঘটনায় জনমনে সৃষ্টি হয় নানান অশান্তি ও আতঙ্ক! এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের মনে সৃষ্টি হয় অনাস্থা! উক্ত ঘটনায় মনোহরদী থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি বাদী হয়ে বিগত ১৩-০১-২০২৫ ইং তারিখে মনোহরদী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে জনমনের এই অশান্তি, আতঙ্ক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মনোহরদী থানা পুলিশ উক্ত মামলার কোমর-বাধা তদন্তে নামে এবং সেই তদন্তভাড় পড়ে মনোহরদী থানার চৌকস অফিসার সিনিয়র এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামানের উপর।
পরবর্তীতে এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অদ্য ১৫-০৩-২০২৫ ইং রোজ শনিবার মনোহরদী থানার এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান তাঁর সংগীয় এসআই আল-ইসলাম ও কং কামাল সহ মনোহরদী থানার মামলা নং-১০(১)২৫, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনালকোড সংক্রান্তে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভুলতা UP এলাকাধীন অভিযান করে প্রথমে ‘বি’ পার্টি পারভেজকে সনাক্ত করেন। তারপর নারায়ণগঞ্জ জেলায় ‘বি’ পার্টি পারভেজকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ও টার্গেটকৃত ব্যক্তি আসামি শাকিব(২২)কে আটক করেন এবং তার নিকট থেকে ডাকাতির লুণ্ঠিত বাদীর মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেন। তারপর আটককৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সথে জড়িত অন্য আরেকজন আসামি ইয়াসিন আরাফাত সাগরকে ডিএমপির বাড্ডা থানার নতুন বাজার এলাকা থেকে আটক করেন এবং থানায় হাজির হয়ে এই মামলার অজ্ঞাত-নামা আসামিদের মধ্য থেকে এই তদন্তের মাধ্যমে আটককৃত ০২ জন আসামীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ০৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করেন। ইতিপূর্বে গত ৩০/১/২৫খ্রিঃ তারিখ অত্র মামলার ১ নং আসামি কানাই চন্দ্রকে ০১দিনের রিমান্ডে
প্রাপ্তির পর তাকে নিয়ে অভিযানের ভিত্তিতে বাদির লুন্ঠিত স্বর্ণের চেনটি
উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
চাঞ্চল্যকর চঙ্গভাঙ্গা ডাকাতি মামলায় জড়িত ও অজ্ঞাত-নামা আসামীদের গ্রেফতারের এই ঘটনায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। বাদী পরিবার ও সাধারণ মানুষ মনোহরদী থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকতাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং মনোহরদী থানা পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীর প্রতি তাদের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরে পাওয়ার কথা জানানো সহ এই ধরনের কার্যক্রম চলমান রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ জনাব আব্দুল জব্বার সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুলিশ সবসময় জনগনের সাথে ছিল এবং থাকবে। আমি মনোহরদী থানায় দায়িত্ব নেয়ার পর ডাকাতির ঘটনার পর তাৎক্ষনিক আমি ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করি ও সম্পূর্ণ সহযোগিতার সহিত মনোহরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করি এবং এসআই মোহাম্মদ শহিদুজ্জামানের উপর এর তদন্তভাড় অর্পন করি। এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান তাঁর পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে আজ এই মামলার একটি সুরাহা করতে সক্ষম হন। আমি এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনী তথা মনোহরদী থানা পুলিশের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানাই।
এসব বিষয়ে এসআই মোহাম্মদ শহীদুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রায় ২ মাস আগে মনোহরদী থানাধীন হাতিরদিয়ার চঙ্গভাঙ্গায় ঘটে যাওয়া ডাকাতির মামলাটি আমাদের কাছে আধারে সুচ খোজার মত একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। পরবর্তীতে আমার চেষ্টা ও পরিশ্রমের পাশাপাশি মনোহরদী থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ,জনাব আব্দুল জব্বার সাহেব ও আমার সংগীয় ফোর্স সহ এএসপি, শিবপুর সার্কেল সাহেব এবং Add.SP(crime and ops) মহোদয়ের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা সহ সার্বিক সহযোগিতায় আজ আমরা সফল হই।
এসআই শহিদুজ্জামান তাঁর সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।