
এস এম নাসির মাহমুদ ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলী সদর ইউনিয়নের মাইঠা বাজারে বুধবার গভীর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬টি দোকান পুরে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা এবং মালামালসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদ মৌসুমে সব হারিয়ে পাগল প্রায় দোকানিরা।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইঠা বাজাওে বুধবার রাত আনুমানিক ২টার সময় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুদি মনোহরি পেট্ট্রোল ডিজেল ব্যবসায়ী মিলন গাজীর দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যে তা পাশের দোকোনে ছড়িয়ে পরে। এসময় একে একে ফেরদাউস খন্দকারের মুদি মনোহরি, খাদিজা বেগমের মুদি মনোহরি ও ভাতের হোটেল,আলামিন খন্দকারের ইলেকট্রনিক্স মামলামালের,ফারুক মোল্লার ভাতের হোটেল ও মন্নান খন্দকারের সাচিমা নামের একটি ক্লাব ঘর রয়েছে। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কমর্ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত আলামিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সামনে ঈদেও জন্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল তুলেছিলাম ঘরে। অগ্নিকান্ডে নগদ টাকাসহ আমার প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুরে ছাই হয়েছে। আমার এখন পথে বসা ছারা আর কোন উপায় নেই। আরেক মুদি মনোহরি ব্যাবসায়ী ও ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী ফেরদাউস খন্দকার বলেন, আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুরে গেছে। অগ্নিকান্ডে খাদিজা বেগমের প্রায় ৫ লক্ষটাকা, আলামিন খন্দকারের ৫লক্ষ টাকার ও ফারুক মোল্লার ভাতের হোটেলের প্রায় ৫লক্ষ এবং ক্লাবঘর পুওে ৫লক্ষ টাকার মালামাল পুরে গেছে
আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেক্টর মো. হানিফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগ্নিকান্ডে ৬টি ঘর পুরে ছাই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা এবং দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে পুরে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।