বাড়িঢাকা বিভাগগোপালগঞ্জ জেলাকোটালিপাড়া  উপজেলার ধারাবাসাইল লেবুবাড়ী বাবুর খাল খনন না করায় পানিতে প্লাবিত থাকে...

কোটালিপাড়া  উপজেলার ধারাবাসাইল লেবুবাড়ী বাবুর খাল খনন না করায় পানিতে প্লাবিত থাকে কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলী বিল।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইকবাল মিয়া।
  গোপালগঞ্জর  কোটালিপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কান্দি ইউনিয়নের শেষ পরযন্ত  পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম লেবুবাড়ী বাবুর খাল। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই খাল দীর্ঘদিন থেকে খনন না হওয়ায় এবং দখল দুষণে সংকুচিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে  বৃষ্টিতেই তলিয়ে থাকে নয়া কান্দির বিল, মাচার তাঁরার বিল, হিজলতলী বিল, কাঁচাড়িভিঠার বিল লেবুবাড়ীর বিল সহ আরও কয়েকটি বিলের পানি  বের হতো এই খাল দিয়ে। কিন্তু এখন এই খালটি খনন না করার কারনে  বৃষ্টিতে তলিয়ে থাকে বিল গুলো ছয়টি  ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের ফসলি জমি আবাদের অযোগ্য হয়ে থাকে।  তাই লেবুবাড়ী বাবুর খাল খননের দাবি ছিল এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
জানা যায়, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই বিলগুলোতে ফলেনি কৃষকের ধান। পানির তীব্র সংকট আর বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে থাকা পানি জমির জলাবদ্ধতার প্রভাবের কারণে  জমে থাকা পানিই কৃষকের ক্ষেত নষ্ট হবার মূল কারণ। প্রতি বছর তলিয়ে যায় কৃষকের ঘামঝরানো কষ্টের ফসল। সময় বদলায়, সরকার বদলায়, জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হয় তবুও পরিবর্তন হয়নি এ অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্য। তবে এবার বদলে যাবে এসব ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের হাজারো কৃষকের ভাগ্য।
কোটালিপাড়া উপজেলার ছয়টি  ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম লেবুবাড়ী বাবুর খাল। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই খাল দীর্ঘদিন থেকে খনন না হওয়ায় এবং দখল দুষণে সংকুচিত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয় খালটি  অল্প বৃষ্টিতে নষ্ট হয় ছয় ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের ফসলি জমি। তাই লেবুবাড়ী বাবুর খাল খননের দাবি ছিল এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
 কোটালিপাড়া উপজেলার শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত লেবুবাড়ী খাল। খালটি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের  ভেতর দিয়ে, শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন, ধারাবাসাইল, নয়া কান্দি,মাচারতারা  হয়ে কাচাড়ীভিঠা বাজারে  শেষ হয়েছে। এই খাল দিয়ে উক্ত এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে মধুমতী নদীতে  পরে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের একমাত্র এই খালটি দীর্ঘদিন থেকে খনন না হওয়ায় এবং অবৈধ দখল দুষণে ভরাট হয়ে রয়েছে। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে   থকে বিলগুলো  ও ধানি ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন এই এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা।
এই খালটি খনন করা হলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন হবে যারফলে কৃষকরা আথিক ভাবে লাভবান হবে ওতাদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে বলে তারা মনে করেন। সেই সঙ্গে এই এলাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে জেমস অনিল হাজরা বলেন আমাদের এখানে একটা খাল আছে যদি খালটি খনন করা হয় তাহলে আমরা জমি চাষ করে খেতে পারব।
 রহিম শেখ বলেন যে আমাদের লেবুবাড়ী বিলের জমি তলিয়ে থাকে পানি বের করার কোন ব্যবসহতা যদি খালখনন করা হয় তাহলে পানি বের হয়ে যাবে আমরা ভালো ভাবে কৃষিকাজ করে বাচতে পারবো।
এস এম রেফাত জামিল নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড গোপালগঞ্জ ,বলেন কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া জলবদ্ধতা নিরাশনের একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে আগামী ২৬/২৭ অর্থবছরে কোটালীপাড়া উপজেলার লেবু বাড়ি বাবুর খালটি খননের কাজ শুরু হবে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments