বাড়িরংপুর বিভাগদিনাজপুর জেলাদীর্ঘ ১৫ বছর পর ছাত্রশিবিরের কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৫ বছর পর ছাত্রশিবিরের কর্মী সম্মেলন

দিনাজপুর সদর(দিনাজপুর)বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের  দিনাজপুর শহর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সম্মেলনে শত শত কর্মী যোগদান করে। কর্মী সম্মেলনের অতিথিবৃন্দ হল

প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় সভাপতি  মুন্জুরুল ইসলাম

বিশেষ অতিথি, সাবেক কেন্দ্রীয় দাওয়া সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম

,কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক অহিদুল ইসলাম আকিক, দিনাজপুর শহর শাখার সাবেক সভাপতি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিনাজপুর শহরের সাবেক শহর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তৃতায় বলেন

আমি বলছি

সাতক্ষীরার আবুল কালাম আজাদ ভাইয়ের কথা। পরিবেশ বৈরি থাকার কারণে দীর্ঘদিন সে বাসায় যেতে পারছে না। সে এক দায়িত্বশীল এর কাছে বললেন আমি বাড়ি যেতে চাই দায়িত্বশীল বলে এখন পরিবেশ পরিচিতি খারাপ বাসায় যাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশের মজনুম জনপদ হলো সাতক্ষীরা অনেক ভাইকে সেখানে শাহাদাতবরণ করেছে।

আবুল কালাম আজাদ একটা জঙ্গলে থাকতো। জঙ্গলে কিছু একটা আওয়াজ পেয়ে সেখানে যায়। দেখে তার সেই দায়িত্বশীল ভাই যে বলেছিল পরিবেশ পরিস্থিতি খারাপ এখন বাসায় যাওয়া যাবে না। শেষে দায়িত্বশীল ভাইয়ের কাছে দুই মিনিট সময় চেয়ে নেয় তার মায়ের সাথে দেখা করার জন্য। মাগরিবের নামাজের পর সে বাসায় যায় দেখে তার মা রান্না করছে। তার মা তাকে দেখে জড়িয়ে ধরে। আবুল কালাম আজাদ বলে মা আমি শুধু ২ মিনিটের জন্য এসেছি তোমার সঙ্গে দেখা করে চলে যাব। তারা মা বলে বাবা তুমি অনেক দিন পর এসেছ একটু ভাত খেয়ে যাও। তার মা তাকে অনুরোধ করে আটকে রাখে।তার মা যখন তার চাচির বাসা থেকে গরম ভাত আনতে যায় এর মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে তাকে টেনে হিজড়ে নিয়ে যেতে থাকে। তার মা পুলিশকে বলে তোমরা এই কাজ কখনোই করিও না। কারন সে চলে যেতে চেয়েছিল আমি তাকে ভাত খাওয়ার জন্য জোর করে রেখেছি। আপনারা যদি তাকে নিয়ে যান আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারব না। পুলিশ সেদিন তার মায়ের বুকে লাথি মেরে তাকে নিয়ে গেছিল। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার গুম হয়ার ৪-৫ দিন পর তার লাশ পাওয়া গেল জঙ্গলে। তাকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তার আগে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তোমার শেষ ইচ্ছা কি তখন সে তার পকেট থেকে ১৪৭ টাকা বের করে দেয়। সে বলে মানুষ শহীদ হলেয় তার পাওনা টাকা কখনো শোধ হয় না। ১৪৭ টাকার মধ্যে কিসর কন্ঠ বিক্রি করা ১৩৭ টাকা আমার।১৩৭ টাকা অমুক জায়গায় দিবেন।  দশ টাকা মসজিদে দান করে দেবে। একথা শোনার পরও হায়নারা তাকে শহীদ করে দিয়েছে।

প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় সভাপতি  মুন্জুরুল ইসলাম বলেন

২৪ এর এই গণআন্দোলনে মধ্য দিয়ে ফেছিস হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এ আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছি। আগামী দিনের দেশ গঠনে ও তারা মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ । আমাদের জীবনের লক্ষ্য একটাই উদ্দেশ্য একটাই। আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করে মুক্তি অর্জন করতে চাই। ইসলামী ছাত্রশিবিরেরা যেভাবে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে বীরের মতো ভূমিকা রেখেছে। নিজেদের মুক্তির জন্য ঠিক একই ভূমিকা পালন করবে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি কোন জনশক্তি এমন কোন কাজের সাথে জড়িত নয় যা আল্লাহর পছন্দ করেন না। পূর্বের দুঃশাসনে আলেমদের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে জুলুম করা হয়েছে ছাত্রশিবিরের এ ধরনের কোন পরিবেশ তৈরি করতে চায় না। আমরা চাই এদেশে ইসলামের চর্চা হোক। এ দেশে তাওহীদের চর্চা অনেক গভীর। যারা ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে বিভিন্ন সময়। এদেশের মানুষ তাদের বিতাড়িত করেছে এর প্রমাণ খুনি হাসিনা নিজেই । বাতিলের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর থাকবে অনেক উচ্চ। ইসলামী ছাত্র শিবিরের জনশক্তিরা আল্লাহ ব্যতীত দুনিয়ার কোন শক্তিকে ভয় করে না। ইসলামী ছাত্রশিবি নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলবে ভবিষ্যতে এ জাতিকে  নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের জ্ঞানচর্চার এই জায়গায় সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের যদি জ্ঞান চর্চা দক্ষ হই।  আন্দোলন নিমিষেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে যা হাসিনা তার নিজেই প্রমাণ।

ছাত্রশিবিরের প্রতিটি জনশক্তির সম্পর্ক হবে কোরআনের সাথে। কারণ কুরআন আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আমাদের জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা কে যদি আমরা আরো সমৃদ্ধ করতে চাই তাহলে ইসলামে সাহিত্যের ভান্ডারে আমাদের নিয়োজিত করতে হবে।

বিগত আওয়ামী লীগ দুঃশাসন যেভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আমাদের যুবকদেরকে পড়ার বদলে মাদক এবং অস্ত্র দিয়ে এ জাতির সবথেকে সূর্যসেন যারা এ জাতিকে নেতৃত্ব দিবে তাদেরকে ধ্বংস করেছে।

ছাত্রশিবিরের আছে নিজস্ব পাঠাগার। তাদেরকে পাঠাগারের সাথে সম্পর্ক করতে হবে। তাহলে ছাত্রশিবির পথভ্রষ্ট হবে না। নিজের লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে পড়ে এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করি।

ইসলামী ছাত্রশিবির হলো এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ইসলামী ছাত্রশিবির করলে শ্রেষ্ঠ সন্তান হওয়া যায় এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির তারা নৈতিকতার শিক্ষা দেয়।

বিগত আওয়ামী লীগ শাসনে আমরা দেখেছি ক্যাম্পাস গুলোকে তারা ধর্ষণের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল।  ইসলামী ছাত্রশিবির তার বিপরীতে নৈতিকতার আন্দোলন প্রতিষ্ঠা সংগ্রাম  করে গেছে । আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছি স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সেঞ্চুরি করা হয়েছে।

ইসলামী ছাত্র শিবিরে এমন জনশক্তি তৈরি করতে চায়। যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবন থেকে নৈতিকতা গ্রহণ করে।

ছাত্রশিবির সভাপতি মইদুল ইসলাম আরও বলেন। ছাত্রশিবির যেমন ছাত্রত্বের সেরা তেমন ব্যক্তিত্ব সেরা হবে বলে আমি মনে করি।

এছাড়াও ছাত্র শিবিরের অনেক দায়িত্বশীল বক্তৃতা রাখে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments