
মো: নাজমুল হোসেন জিয়ানগর (পিরোজপুর) নিজস্ব প্রতিনিধি:
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের পৌনে ০২কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও সল্য চিকিৎসা সামগ্রী ) সামগ্রীর গড়মিলে সত্যতা পাওয়ায় ০৪ চিকিৎসক, স্টোর কিপার, ০৪ সরবরাহ কারীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছেন।
দন্ড-বিধির ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফ শেখ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি দায়ের করেন এবং শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অএ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো: মিজানুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট (গাইনী) ও সার্ভে কমিটির সভাপতি ডা. ফরাহানা রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো: নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কন্সালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা, হাসপাতালের স্টোরকিপার মো: আল আমীন গাজী এবং ওষুধ সরবরাহকারি এস এম সামসুল আরেফীন (নাজিরপুর), মো. হানিফুল ইসলাম (ঢাকা), মো: জহিরুল ইসলাম ( যশোর) ও মো. রাশেদুজ্জামান এরশাদ (গোপালগঞ্জ)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সরবরাহকৃত ওষুধ ও এমএসআর সরবরাহকারী ০৪টি প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ওষুধ ও এমএসআর (চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সামগ্রী) সরবারাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।
এ সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ০৪টি প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী সরবরাহের অনুকূলে হাসপাতালের সার্ভে কমিটি সভাপতিসহ ০২ সদস্যকে ০১ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকার ওষুধ ও সামগ্রী বুঝে নিয়ে উল্লেখিত অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু দুদকের এনফোর্সমেন্ট
নিরীক্ষা কালে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের উক্ত সরবরাহ করা ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী স্টক রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা স্টোরে পাওয়া যায়নি।
গত ২৭ জানুয়ারি দুদকের অভিযানে এ তথ্য প্রাপ্তির পর গত ০২ফেব্রুয়ারি উক্ত ঘাটতি পূরণের জন্য আসামীগণ তা সমন্বয়ের অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা মূলক ভাবে ০১টি ট্রাকে ওষুধ এনে তা স্টোরে মজুদের অপচেষ্টা করেন। দুদক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উক্ত ট্রাকটি আটক করেন।
এসব অপরাধের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করে বলে মামলার বিবরণে জানা যায়।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, পরবর্তী তদন্তকালে এজাহারে বর্ণিত অপরাধের সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে রুজুকৃত মামলায় তাদের আসামী করা হবে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা.মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, মামলার বিষয়ে তিনি এখনো অবগত নন। তবে মামলার তদন্তে আসল বিষয় উঠে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।