
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের হাওর এলাকার সুখাইড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের ১৯টি পরিবার দেড় বছর আগে পল্লী বিদ্যুতের মিটার পেলেও এখনো ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ওই গ্রামের ১৯টি পরিবারের সদস্যদেরকে বিদ্যুতের অভাবে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের সুখাইড় পশ্চিমপড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী নবীন চন্দ্র পুরকায়স্থ, সুধীর দাস, শংকর তালুকদার, শ্যামল দাস, নিগেন্দ্র দাস অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের ইউনিয়নটি সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে তাঁদের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়।
সুখাইড় পশ্চিমপাড়া গ্রামেও বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো ও তাঁর টানানো হয়। কিন্তু সেখানে যেনতেন ভাবে বিদ্যুতের লাইন টানানো ও বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ করা হয়েছে। ওই গ্রামের ১৯টি পরিবার দেড়বছর আগে বিদ্যুতের মিটার পেলেও তাঁদের গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি। এ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকার যেখানে জনগণকে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য সবধরণের চেষ্ঠা করছে সেখানে তাঁদের এলাকার দায়িত্বে থাকা পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সীমাহীন উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের গ্রামের বৈদ্যুতিক লাইন দ্রুত সংস্কার করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দিপা বলেন, বিদ্যুৎজনিত সমস্যায় আমার ইউনিয়নের সুখাইড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানুষজনকে দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের লাইন সংস্কার করে ওই গ্রামের দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য আমি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জামালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও এটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের এজিএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এতদিন কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।