
এম এ এইচ জয়। বান্দরবান।
গত কাল বান্দরবানের লামায় ইয়াংছা বাজারে ভয়াবহ আগুনে ৮টি দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ৩ জন আহত হয়। আহতদের লামাও চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইয়াংছা বাজারে একটি জ্বালানি তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাশ্মের সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, জ্বালানি তেলের দোকানদার এনায়েত উল্লাহ, সারের দোকানদার মোঃ শাহাবুদ্দিন, সেলুন দোকানদার সুজন কর্মকার, কুলিং কর্ণার মালিক মোঃ ইউছুপ, ভাই ভাই হোটেলের মালিক শুরুল আমিন, মুরগির দোকানের মালিক সুনীল কান্তি দাশ, সেফা হোমিও হলের মালিক ডাঃ আব্দুল আজিজ এবং বসতবাড়ির মালিক মোঃ রফিক। আহতরা হলেন, তেলের দোকানদার এনায়েত উল্লাহ (৪৮), বদিউল আলমের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিন (২৭) এবং আবু সিদ্দিকের ছেলে মোঃ ইউছুপ (২০)।
আগুনে ৭টি দোকান ও ১টি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল হোসাইন বলেন, ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রায় ৮টি দোকান ও বসতবাড়ির সব মালামাল পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে আগুনের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে আরো সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতি হওয়া ৮ দোকানের মালিকরা দাবী করেন তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল জানান, আগুনের সংবাদ পাওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাস সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী সহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
ইয়াংছা বাজার কমিটির সেক্রেটারী মোঃ কামরুল জানান, তেলের দোকানদার এনায়েত উল্লাহ আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ২ জনকে চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ইয়াংছা বাজারে প্রায় দোকানে লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়া পেট্রোল ও গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করে। যার কারণে যখন তখন আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনের সৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
লামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা সাফায়েত বলেন, ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে আমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুটি দোকান ও ১টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ৩ জন আহত হয়।
লামা পৌর সভার মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার পর লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহি অফিসার শান্তনু কুমার দাস, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নারী নেত্রী ফাতেমা পারুল সহ আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করি।
আমরা ক্ষতি গ্রস্তদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।