
মোঃ জমির উদ্দিন ,পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
সম্প্রতি দৈনিক সংবাদ”পত্রিকায় প্রকাশিত “প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ ইটভাটা” এবং রংপুর থেকে প্রকাশিত “সকালের বাণী” পত্রিকায় পীরগাছা উন্নয়ন প্রকল্প নামে লুটপাট, কাগজে কলমে প্রকল্প, বাস্তবে নেই এবং বিভিন্ন অনলাইনে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন এর নামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদ গুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। কতিপয় সংবাদকর্মী নিজ স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এ উপজেলায় যোগদান করার পর প্রতিটি দপ্তরে নজরদারি জোরালো করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো কাজের আগে এবং পরে দেখে ছবি সংগ্রহ করে বিল প্রদান করা হয়। এখানে যে দপ্তর গুলো থেকে প্রকল্প দেয়া হয়েছে, সেই দপ্তরের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষনিক তদারকি করে কাজ বুঝে নিয়ে বিলে স্বাক্ষর দেন। প্রকল্পগুলোর কাজে আমাকে জড়ানোর কোন সুযোগ নেই। আর একজন ইউএনও সব প্রকল্প ঘুরে দেখারও কোন সময় নেই।
প্রকাশিত সংবাদে তিনটি গণশৌচাগার নির্মাণের যে কথা বলা হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে প্রকল্পগুলো পরিবর্তন করে রেজুলেশন করে অন্য প্রকল্প দিয়েছেন। ফলে পূর্বের দেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কোন সুযোগ নেই।
অবৈধ ইটভাটা গুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের লোকজনও এতে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং অনেকগুলোতে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অভিযান চলমান থাকায় হঠাৎ করে আমাকে জড়িয়ে এধরণের সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদ গুলোর কোন ভিত্তি নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যারা অনিয়ম করতে পারেননি, তারাই সরকার পতনের পর অনেকে প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বির্তিকত এসব সংবাদকর্মী ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন অফিস আদালতে এবং সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মকান্ডে সাধারণ সচেতন মানুষ সজাগ রয়েছে। তাই আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামীতে এধরণের তথ্যহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।