বাড়িরংপুর বিভাগদিনাজপুর জেলাফুলবাড়ীতে অপতৎপরতা ও অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময়

ফুলবাড়ীতে অপতৎপরতা ও অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময়

মোঃ নাইমুর রহমান ,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কে দেশের বীর সেনানিদের কল্যাণে ১৯৭৮ সালে এককালীন প্রদত্ত ঐতিহাসিক কানাহার ডিগি সম্পর্কে অপ তৎপরতা,বিরুপ প্রচার ও দুর্নীতি পরায়ন অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ২৪ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে দশটায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী আকন্দের সভাপতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মোল্লা।এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উক্ত মতবিনিময় সভাটির শুব সূচনা হয়।
সূচনা বক্তব্য রাখেন পূর্ব দক্ষিণ রণাঙ্গনের অর্থাৎ ছয় উপজেলার যুদ্ধকালীন জুনিয়র কমিশন অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী হাজী মনসুর আলী সরকার।
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন মুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দিন ও আব্দুল হাই মোল্লা। 
এ সময় প্রেস ব্রিফিং এ মুক্তিযোদ্ধারা বলেন,মুক্তিযুদ্ধ সংসদের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের বাইশে মে ফুলবাড়ী সফর করেন এবং ফুলবাড়ী কলেজ মাঠে একটি বিশাল জনসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধা সহ ফুলবাড়ী বাসি প্রেসিডেন্ট মহোদয়ের নিকট ফুলবাড়ী পৌরসভা স্থাপন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দাবি পেশ করি। এছাড়াও ফুলবাড়ীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পরিত্যক্ত ও ব্যবহারে একেবারে অনুপযোগী-ভুতুড়ে-ভরাট কানাহার ডিগিটি ফুলবাড়ীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এককালীন বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে প্রদান করেন।অতঃপর আমরা নিজ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মরহুম লিয়াকত আলিকে প্রজেক্ট প্রধান করে দিঘিটির সার্বিক সংস্কারের জন্য একটি স্ক্রিম প্রণয়ন করি এবং সে মোতাবেক প্রথমে পাঁচ হাজার চারশত মন গম,পরবর্তীতে আরও ৬শত মন গম খরচ করি।আমরা ফুলবাড়ীর সকল মুক্তিযোদ্ধারা তিন বছর যাবত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে মাছ চাষযোগ্য করেছি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর আদেশ বলে সরকার বাহাদুরের সকল নিয়ম-কানুন প্রতিপালন করতঃ ১৯৮১ সাল থেকে অদ্যাবধি ভোগ দখল করে আসছি।এই দিঘি থেকে লব্ধ আয় অর্থ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণের আপৎকালীন জরুরী প্রয়োজনে এবং তাদের বিভিন্ন কল্যাণে ব্যবহার করে আসছি।এদত সঙ্গে বলা প্রয়োজন যে,আমরা দিঘির পশ্চিমপাড় ব্যাপকভাবে সংস্কারপূর্বক এখানে একটি পাড় নির্মাণ একটি শিশু সধন,হাফিজিয়া মাদ্রাসা স্থাপন মুর্দা ঘর নির্মাণ করা সহ ঈদের নামাজ ও জানাজার জন্য একটি ঈদগাহ মাঠ স্থাপনে সহযোগিতা করেছি।প্রসঙ্গক্রমে ধারাবাহিকভাবে ১৯৮১ সাল থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদেশে এ যাবৎ ভোগ দখলরত রয়েছি।ফুলবাড়ীর স্থানীয় জনৈক কথিত সংবাদকর্মী হারুন ২৪ এর ৫ ই আগস্ট পটো পরিবর্তনের অনাকাঙ্ক্ষিত সুযোগ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন এবং আমাদের সাথে কানাহার দিঘির আয় অর্জিত টাকা বিষয়ে নানা ধরনের অস্বস্তিকর কথাবার্তা বলছেন।যা তার এখতিয়ারে পড়ে না।এছাড়াও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এছার উদ্দিন ও আমরা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় যেন অপরাধ করেছি।আমি কেন,সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এর সহোদর ভাই মুশফিকুর রহমান বাবুলকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছি?এবং তাকেও অনুরূপ সুবিধা না দিলে তিনি আমাদের সংক্রান্ত বিষয়ে নানা ধরনের সমস্যা,বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন বলে জানান।আমরা এই ঘটনাটি সকল মুক্তিযোদ্ধাগণকে সঙ্গে-সঙ্গে অবহিত করেছি।
বলা বাহুল্য যে,বর্ণিত দিঘির নিয়মিত মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে অসম্মানজনক কথাবার্তা প্রকাশ্যে বলে আসছেন এবং স্থানীয় সহকারি কমিশনার (ভূমি’র)নিকট আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তমূলক অভিযোগ করেন।যা আমরা সঠিকভাবে অবগত হয়েছি। এমনকি তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতিশ্রুতির প্রতি কটুক্তি করেন।উক্ত দিঘিটি ৪৪ বছর যাবৎ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অদ্যাবধি যথাযথভাবে দখলরত রয়েছে।তিনি অর্থাৎ হারুন সাহেব প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়েছেন যেন দিঘিটি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে কথিত সংবাদকর্মী হারুন মাছ ধরতে দিবেন না এবং বাধা সৃষ্টি করবেন এহেন ভয় দেখিয়ে তিনি বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করবেন না মর্মে আমাদের নিয়োগকৃত কেয়ারটেকারের নিকট থেকে আমাদের অজ্ঞাতে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছে।এ প্রসঙ্গে হারুন অবশ্য তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।আপনাদের সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি,আমাদের এই দিঘিতে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার চাষধিন মাছ মজুত রয়েছে।
সর্বশেষ বলতে চাই,এই হারুনদের মত হলুদ সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতার মত পবিত্র দায়িত্ব কে কলুষিত করেছে এবং তাদের এই অপ ও অসৎ সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।বরং ইহা দেশের জনগণ-সমাজে বিভেদ-বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খলা ও অনিস্টিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকে।আমরা ঘৃণা ভরে এদের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments