
মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মফিজুল ইসলাম(৪৫) নামে এক জনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মফিজুল ইসলাম(৪৫) উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের পিতা-মৃত সলিমুদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শুক্রবার বীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শতগ্রাম ইউনিয়নের একই এলাকার মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে মোঃ হাসিনুর রহমান (৩৫), মোঃ আনিছুর রহমানের ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (২১), মোঃ সিয়াম(২০) ও মোঃ হাসিনুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ ফারজানা বেগম ওরফে ফাহিমা খাতুন (৩৫) নামে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শতগ্রাম ইউপির বানিয়াপাড়া গ্রামে সফিকুল ও হাসিনুর পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত ৭ মার্চ সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে মোঃ মফিজুল ইসলাম, তাওয়াই মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং বড় বোন মোছাঃ সাফিনা বেগমদের মারপিট করে জখমের ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় ১০ মার্চ সন্ধ্যায় এজাহার নামীয় আসামীরা পুনরায় ওই পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে
তাদের মারপিট জখম করিলে মফিজুল ইসলামসহ ৮ জন আহত হয়। গুরুতর আহত মফিজুলকে বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেন সেখান অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করলে শুক্রবার (১৪মার্চ) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মফিজুল এর মৃত্যু হয়। বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান’,গত সোমবার বিকালে জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় মফিজুল ইসলাম নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়ে মৃতের পরিবারের কাছে জানতে পেরেছি। তিনি আরো জানান,শুক্রবার সকালে নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে যাহার মামলা নং ১৮,তারিখ ১৪/০৩/২০২৫। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার (এসআই) মোঃ জাহাঙ্গীর বাদশা রনি জানান,এজাহার নামীয় ১০ জন আসামী মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার হলেও বাকীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।