
মোঃ কাউছার মিয়া,মনোহরদী(নরসিংদী)নিজস্ব প্রতিনিধি।
সম্প্রতি ২৭-০৫-২০২৪ ইং রোজ সোমবার ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের একটি প্রেস বিজ্ঞতি প্রকাশ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে হেলাল হাসান(ইমন আলম)কে সভাপতি ও কামরান সরকার এনি কে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদের একটি আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রয়েছেন আশরাফুল আলম ভূইয়া রিপন এবং জিল্লুর রহমান সুমন।কমিটি টি তে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন(যথাক্রমে) এ এম আহাদুল্লাহ মোল্লা,শেখ রাফাত এবং রফিকুল ইসলাম রাহাত।কমিটি টি তে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন(যথাক্রমে) জাহিদ মোল্লা,মোঃ হৃদয় মিয়া এবং আরিফুল ইসলাম আরিফ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি টি ফেইসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর ই নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব,আহসানুল হক রিমন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজালাল আহমেদ শাওন তাঁদের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশ হওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি টি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং কাউকে গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলেন।আর এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ অবগত নয় এ বিষয়টি ও পরিষ্কার করেন এবং বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে বিগত ২৮/০৫/২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার নরসিংদী জেলা শাখা ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের সাংগঠনিক পেডে বিগত সময়ে প্রকাশ হওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি টি মিথ্যা/বানোয়াট,এই বিষয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ অবগত নয়,এরকম কোন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় নি এবং যারা এ ধরনের বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এই মর্মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আহসানুল হক রিমন ও সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজালাল আহমেদ শাওন তাদের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি তে প্রচার করেন।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ছাত্রনেতা এবং সাবেক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক জনাব শেখ রাফাত এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এটা একটা মিথ্যা বানোয়াট ও প্রতারণামূলক কাজ।এমন করে রাতি-রাতি কখনো কমিটি হয় না।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে আর এই গঠনতন্ত্র মেনেই সব সময় কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে।কিন্তুু সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া কমিটি কোন প্রকার গঠনতন্ত্র মেনে করা হয় নি।এতে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।ছাত্রলীগের একটি সোনালী ইতিহাস রয়েছে।পূর্ববর্তী ইতিহাসে কখনো এরকম ভাবে কমিটি গঠন করা হয় নি।আমি মনে করি এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ,ছাত্রলীগের সোনালী ইতিহাস এবং আমাদের নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের প্রান পুরুষ মাননীয় শিল্প মন্ত্রী এড.নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সাহেব এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দন সাহেব কে প্রশ্নবিদ্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র। যারা এ ধরনের গর্হিত কাজ করে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া কমিটি তে ছাত্রনেতা শেখ রাফাতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি(কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে আমিও দেখেছি তবে কে বা কাহারা আমার নাম জড়িয়ে কমিটি প্রকাশ করেছে তা আমার জানা নেই।সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমার সামনে আসলে আমিএ বিষয়ে আমাদের নরসিংদী জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আহসানুল হক রিমন ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজালাল আহমেদ শাওন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি এবং উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেন যে,প্রচার হওয়া কমিটি উনারা অনুমোদন দেন নি আর এ বিষয়ে উনারা অবগত নন এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে সাংগঠনিক ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।হয়তবা কমিটি টি বিশ্বস্ত হিসেবে প্রচার করতে আমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তুু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ তথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ বিরোধী,নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র তথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং আমার এবং আমাদের অভিভাবক মাননীয় শিল্প মন্ত্রী এড.নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সাহেব ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জনাব খায়রুল মজিদ মাহমুদ চন্দন সাহেব কে প্রশ্নবিদ্ধ মূলক কোন কমিটিতে আমি ছিলাম না,থাকব না,সহমত প্রকাশ করব না এবং এ বিষয়ে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক ভাবে প্রতিবাদ করব ইনশাআল্লাহ।
মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক ছাত্র নেতা এবং মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কিমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক এ.এম আহাদুল্লাহ মোল্লা বলেন, এটা একটা মিথ্যা ও বানোয়াট কাজ। তিনি বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ছাত্রলীগ তৈরি হয় না, ছাত্রলীগ উঠে আসে রাজপথ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির কমিটিতে নাম থাকার বিষয়ে জনাব এ এম আহাদুল্লাহ মোল্লা জানান,ভুয়া কমিটিতে আমার নাম কে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া সাংগঠনিক প্রক্রিয়া বিহীন কমিটি আমি মানি না।
স্ব-ঘোষিত কমিটির সভাপতি হেলাল হাসান(ইমন আলম)কে তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে তার নিজের দেওয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাস এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ফেসবুক স্ট্যাটাস এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা জাল সাক্ষর নয়। এসব জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাটক।তারা আমাদের কাছে টাকা দাবি করেছে, না দেওয়াতে তারা এই কাজ করেছে।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা কিভাবে পেল জানতে চাইলে ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরান সরকার এ্যানি বলেন, এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আহসানুল ইসলাম রিমন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজালাল আহমেদ শাওন বলেন, আমাদের স্বাক্ষর জাল করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।এটি একটি ভূয়া ও বানোয়াট প্রেস বিজ্ঞপ্তি।ছাত্রলীগের ইতিহাসে কখনই রাতারাতি কমিটি দেওয়া হয় নি।কমিটি গঠন করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে আর সেই গঠনতন্ত্রের মাধ্যমেই কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি”র বিষয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ অবগত নয়।আর এ বিষয়টি আমাদের ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সঠিক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মাধ্যমে পরিষ্কার করে দিয়েছি।বানোয়াট-ভূয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যারা এই বিভ্রান্তি ছরিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত সাংগঠনিক ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হেলাল হাসান(ইমন আলম) এর বক্তব্য অনুযায়ী তার কাছে টাকা দাবী করার বিষয় টি জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আহসানুল হক রিমন এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজালাল আহমেদ শাওন জানান,টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।এগুলো উদ্ভ্রান্ত ও পাগলের প্রলাপ।
মনোহরদী উপজেলা তথা নরসিংদী জেলা আওয়ামী-লীগ,যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ সহ সর্বমহল প্রচার হওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি টি কে একটি অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করছেন।সকলের বক্তব্য অনুযায়ী এমন ঘঠনা ইতোপূর্বে কখনই সৃষ্টি হয় নি।এ ধরণের ঘঠনা সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাজনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।যে বা যাহারা এই কাজ করেছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে সবাই।