
মোঃ মোজাম্মেল হোসেন,কাপাসিয়া (গাজীপুর)বিশেষ প্রতিনিধি
সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির উপর আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মোঃ এনামুল নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন বেপারীর একমাত্র ছেলে। এ ঘটনায় এনামুলের স্ত্রী নাজনীন ইসলাম বৃষ্টি বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এনামুলের বড়বোন নাসিমা সুলতানা জানান, চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত সোমবার জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) নিতে এসছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ এর চাঁদপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদ হাসান। তাকে মাঠে দেখতে পায় বিগত সরকারের আমলে তার দ্বারা হয়রানি ও মারধরর শিকার একদল লোক তার উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় ফরিদ হাসানের সঙ্গীরা তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। মারামারির এ দৃশ্য ভিডিও করতে এগিয়ে যায় মালয়শিয়া ফেরত এনামুল (৩০)। তার ভিডিও করার দৃশ্য দেখে ফেলায় ফরিদের উপর আক্রমণকারীরা এনামুলকে কিল ঘুষি মারতে মারতে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে। পরে সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলোপাথারি মারধর করে এক পর্যায়ে ছেড়ে দেয় তাকে। বাড়ি ফিরার পর বুধবার সকালে মারাত্মক অসুস্হ বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্হার উন্নতি না হলে আশঙ্কাজনক অবস্হায় ওই দিন সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ১১টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, এনামুলের গলায়, মাথায় ও অন্ডকোষ মারাত্মক জখম ও রক্ত জমাটবদ্ধ থাকার চিহ্ন দেখা গেছে।
তবে এনামুলের প্রতিবেশি ছানাউল্লাহ শিকদারের ভাষ্য, এনামুল বেশ কিছুদিন অসুস্হ থাকার পর মালোয়শিয়া থেকে দেশে ফেরত এসেছেন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মাঃ কামাল হােসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দিয়েছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন