
এমদাদুল হক তামিম লামা (বান্দরবান) নিজস্ব প্রতিনিধি
লামায় স্বামীর সহায়তায় স্ত্রী গনধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগে লামা থানায় অভিযোগ। সূত্রে প্রকাশ মিরিঞ্জা ভ্যালীর নৈশ প্রহরী স্বামী রুবেল হোসেনসহ অন্য চারজন দ্বারা ধর্ষিত হন এক সন্তানের জননী। পুলিশকে দেয়া তথ্যমতে ধর্ষিতা নারীর স্বামী রুবেল নেশা করে শুয়ে থাকে অন্য চারজন মিরিঞ্জা ভ্যালী এগেইনের কটেজে ধর্ষণ করে। মামলা তদন্তের স্বার্থে অন্য ধর্ষকের নাম প্রকাশ করছেন না পুলিশ। ধর্কিতা নারী শনিবার থেকে ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করলেও পুলিশের তথ্য বলছে ঘটনা রোববার থেকে। মঙ্গলবারে মুক্ত হয়ে ধর্ষিতা নারী লামা হসপিটালে চিকিৎসা নেয়। পুলিশ ধর্ষনের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ধর্ষিতা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে লামা থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ধর্ষিতার স্বামী রুবেল হোসেন সোমবার একটি গোপন ভিডিও করে। সেখানে দিনের বেলায় একটি কটেজ থেকে স্থানীয় এক যুবক বের হয়ে আসতে দেখা যায়। তার কিছুক্ষণ পর রুবেলের স্ত্রীকে বের হতে দেখা যায় ভিডিওতে। গোপনে ভিডিওটি ধারণ করেন রুবেল নিজেই। সেখানে সে এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য বলতে থাকে, তার ছোট স্ত্রী অন্য লোকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে। রুবেল তার মুঠোফোনে জানায়, তার ছোট স্ত্রী লাইনঝিরি গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সাথে রিলেশন করে এবং ওই যুবককে নিয়ে সোমবার রিসোর্টে আসে। এই ভিডিও করার পর রুবেল হোসেন রাতে তার স্ত্রীর সাথে ছিল বলেও রুবেল জানায়। পরদিন সকালে রুবেলকে ঘুমে রেখে তার স্ত্রী কটেজ থেকে বের হয়ে যায়। ধর্ষনের বিষয়টি আদৌও সত্য কিনা সেটাও নিশ্চিত করতে পারছেন না পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কয়েক বছর আগে আলীকদম উপজেলা চৈক্ষ্যংগ্রামের বাসিন্দা এই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে জেল খেটেছিলেন রুবেল। পরে রুবেল দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে এই নারীকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলছে। মিরিঞ্জা ভ্যালীর মালিক মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, ‘রুবেল হোসেন তাদের নৈশ প্রহরী হিসেবে দুই মাস ধরে চাকরি করছে। রমজানে পর্যটকদের আগমন না থাকায় রুবেল হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রিসোর্ট কটেজে নিয়ে রেখেছে, যা আমিও জানতাম না’। মঙ্গলবার রাতে লামা থানার ওসি সাংবাদিকদের জানান, রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী থানায় রুবেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।