
সেলিম মুন্সি,জাজিরা (শরিয়তপুর) শিক্ষানবিস প্রতিনিধি।
আজ ০৬ এপ্রিল সকাল থেকেই এই সংঘর্ষ চলতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীর একজন স্থানীয় বলেন, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ আহতরা জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আজকের এই সংঘর্ষে দেশীয় ও অত্যাধুনিক নানা ধরনের অস্ত্রের মহড়া চলে।যা অনেকেই প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।এই অত্যাধুনিক অস্ত্রের উৎস কি?এই আধুনিক অস্ত্রের যোগান দেয় কারা?এর পিছনে কি কোন গোপন অপশক্তি কাজ করছে?
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।যা এই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে আরও অধিক তিক্ততার রুপ লাভ করে।
স্থানীয় প্রভাবশালী সরদার ও ফকির গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব পুরাতন যা আজকে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রূপ ধারণ করে।এই ঘটনায় অনেকে অত্যাধিক গুরুতর আহত হয়েছে।
জাজিরার স্থানীয় বাসিন্দা শাহ পরাণ বলেন,আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক যা কাম্য ছিল না।
পুলিশ ০৬টি ককটেল বোমা এবং ০৩ টি ককটেল বোমা যেগুলো ফোঁটানো হয়েছে ও একটি টেডা(মাছ মারার দেশি অস্ত্র ) উদ্ধার করেন।
ককটেল বোমার আগাতে কয়েকটি বসতবাড়ির টিনের বেড়াতে তীব্র আঘাতে ফেটে গেছে।
এমন একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো ৬/৭ মাস বয়সের একটি দুধের শিশু। শিশুটি বোমার আওয়াজে চিৎকার করে উঠে।
কুপিয়ে ঘরের সামনের বেড়া টুকরো টুকরো করে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।
এমন অবস্থায় ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এবং ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠি চার্জ করে। সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাজিরা পৌরসভার মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন,খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অচিরেই
আইনের আওতায় আনা হবে।