
সিয়াম খান, শার্শা(যশোর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি:
৯০ দশকের পরবর্তীতে যারা শার্শা উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতৃত্বে দিয়েছে তারা অধিকাংশই আজকের শার্শা থানা যুবদলের আহবাহক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমের হাত ধরে। তার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা সৈনিকেরা সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত কেউ নোংড়া বা অপরাজনীতিতে জড়ায়নি। কারন সে ছিল আদর্শবান পরিবারের শিক্ষিত, বিনয়ী ও মানবিক একজন মানুষ। এসব গুনের কারনে ছাত্র রাজনীতিতে বা যুব রাজনীতিতে আজ পর্যন্ত এ অঞ্চলে তার প্রতিদন্দী কেউ হতে চাইতোনা। তার গুনাবলীর কারনে সবাই তাকে মাথার উপরে রাখতো। কারন সে ছিল বিশ্বস্ত ও আস্থা ভাজন রাজপথের অদম্য সাহসী যোদ্ধা। আর দলের নীতি নির্ধারকরাও সাধারন কর্মীদের চাওয়া পাওয়াকে সমর্থন দিয়ে তাকে বরাবরই মর্যাদার স্থান দিয়ে গেছেন।
প্রথমে মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বেনাপোল নগর ছাত্র দলের সভাপতি,পরে শার্শা উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি, একই সময়ে রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে যশোর জেলা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি হন। আর আজ সে উপজেলা যুব দলের আহবায়ক হয়েছেন।
মাতৃভাষাকে আরো সম্মান দিতে ২০০২ সালে প্রথম বেনাপোল সীমান্তের শুন্য রেখায় ভারত-বাংলাদেশ যে যৌথ ২১ উৎযাপনের আয়োজন হয় সেটিও তার হাত দিয়ে। এমন ভাগ্য সবার হয়না।
সমালোচনাকারীরা মনে রাখবেন, কেবল দলের পিছনে টাকা আর হাঙ্গামা,দাঙ্গামা করলেই নেতার মর্যাদা আসেনা। আপনাদের গ্রহন যোগ্যতা কেবল দলবাজীদের দৃষ্টিতে। সর্বমহলে ভালবাসা অর্জন করতে আগে সামাজিক হতে হবে। এ পর্যন্ত আপনাদের প্রাপ্তি কতটুকু? আর যাদের পিছনে লেগে আছেন তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মর্যাদা কোথায় ভেবে দেখেছেন?
আসেন, যেটা দখলকে (প্রভাতী সংঘ) কেন্দ্র করে আপনারা আজ বাঁকা পথে হাটছেন, অযৌতিক সমালোচনা করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে কিছু জানায়।
” প্রভাতী সংঘ ” একটি অরাজনৈতিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। যার জন্ম ১৯৭২ সালে বেনাপোলের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে। সে সময়কার বিনোদন বা সাংস্কৃতি প্রেমীদের আড্ডা স্থল বলতে ষ্টেশন রোডে এই প্রভাতী সংঘ। এক সময় বয়সের ভারে আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়ায় ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি পরিতক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সরগম সংগীত একাডেমীর সভাপতি মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম সাংস্কৃতিক প্রেমীদের নিয়ে সেটি সংস্কার করে প্রভাতীর প্রান ফেরায়। আলো জ্বলায় ঘরে। তার এ অবদানের কারনে সরকার পরিবর্তন হলেও বিগত সময়েও কেউ কখনও মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমকে বাদ দিয়ে প্রভাতি সংঘের কমিটি করেনি। এটি তাদের উদারতা ও মানবিকতা।
শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের সংগ্ৰামী আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন বলেন,, প্রভাতী সংঘ একসময় বিলুপ্তির পথে ছিল তখন মোস্তফিজ্জোহা সেলিম ভাই অদম্য পরিশ্রম আর কঠোর বুদ্ধির জোরে এটিকে আবার পুনরায় জীবিত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে তাকে (মোস্থাফিজ্জোহা সেলিম)ছাড়াই প্রভাতী সংঘের কমিটি গঠন করা হলো।
মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমকে বাদ দিয়ে প্রভাতী সংঘের কমিটি গঠন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শার্শা উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ।