বাড়িচট্টগ্রাম বিভাগচট্টগ্রাম জেলাসীতাকুন্ডে প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা বন্ধে, সচেতনতায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা।কর্মসূচির নামে লাখ...

সীতাকুন্ডে প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা বন্ধে, সচেতনতায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা।কর্মসূচির নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

মোহাম্মদ জামশেদ আলম,সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

১৫ এপ্রিল থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত মোট ৫৮দিন দেশের সকল নদ-নদী ও সাগরে জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ফলে এই সময়টায় বঙ্গোপসাগরের বড় একটি অঞ্চল কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকবে মাছ ধরার ক্ষেত্রে, যা ভবিষ্যতের জন্য টেকসই মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডের সন্দ্বীপ চ্যানেলে (বঙ্গোপোসাগর) মাছ সংরক্ষন আইনে, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস অধিদপ্তর। সরকারী ঘোষনা কার্যকরে জেলে সম্প্রদায়কে সচেতন করতে প্রচার প্রচারনা বাধ্য-বাধকতা রয়েছে সংস্থাটির। কিন্তু মাছ আহরন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও প্রচার-প্রচারনায় উদাসীন স্থানীয় মৎস দপ্তরটি। এ পরিস্থিতিতে আগাম বার্তা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার জেলে।

উপজেলার ২৫ টি ঘাটে প্রায় ৫ হাজারের অধিক জেলে মাছ ধরা পেশার উপর জীবন জীবিকা নির্ভর করছে। জোয়ার ভাটাকে ঘিরে জাল বুনে-নৌকা বেয়ে দিন-রাত মাছ ধরার কাজে গভীর সমূদ্রে পড়ে থাকে তারা। মাছধরা পেশার সাথে আড়তদার, দাতনদার, ক্ষুদ্র-বড় ব্যবসায়ীসহ বহু মানুষের রোজগার ওতোপ্রতভাবে জড়িত। কিন্তু পৈত্রিক পেশায় আয়ুস্কাল শেষ করলেও জীবনমানের পরিবর্তন নেই তাদের। আবার প্রতি বছর বিভিন্ন সরকারী বন্ধের কারনে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান জেলে সম্প্রদায়।

তারা বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন বন্ধে পড়ে মাছ ধরার সুযোগ পাওয়া যায় না। মাছ ধরা পেশায় জড়িত হওয়ায় অন্য পেশায় কাজ পাওয়া কঠিন। এ পরিস্থিতিতে বেকারত্বের কবলে পড়ে পরিবারের ভরন পোষনে হিমশিম খেতে হয়। কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারনা ছাড়া হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় জাল প্রস্তুত করতে গিয়ে অনেকেই ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে গেছেন। সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ করার আগে প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে জেলেদের অবগত করলে তারা এ সময়টা অন্য পেশায় যোগ দেয়ার সুযোগ পেতো বলে জানান।

তারা আরও বলেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অঘোষিতভাবে অভিযান চালানো হয়। এদিকে,অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষনায় চরম উদাসীনতাসহ নানামুখী কর্মসূচির স্থলে নামমাত্র দায় সারানো প্রচরনা করা হয়। এতে মাছ ধরা বন্ধ সংক্রান্ত তথ্য অজানা থাকায় জেলেরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছে। অথচ কর্মসূচি ছাড়া অনুষ্ঠানের নামে প্রতি বছর ভূয়া বিলে লাখ লাখ টাকা আতœসাত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, জেলেদের অবগত করতে প্রচার প্রচরনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কিছু ত্রæটি বিচ্ছুতি থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments