
শামসুল আলম শারেক, টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেন্টমার্টিনের স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ছিল ৫ জুন বুধবার।
যথারীতি ভোট গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটের সরঞ্জামাদি
নিয়ে নৌ পথে ফিরছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের ওপার থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে আরাকান আর্মি। এতে একটি করে স্পিডবোট ও ট্রলারে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বোটের পাটাতনে শুয়ে পড়েন। অল্পের জন্য রক্ষা পান তারা।
বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভোট গ্রহণ শেষে প্রিজাইডিং, পোলিং কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ড ও পুলিশের কতিপয় সদস্য নির্বাচনী সরঞ্জামাদি সাগরের মোহনায় পৌঁছালে ওপার থেকে বৃষ্টির মতো গুলি আসতে থাকে। এসময় কৌশল অবলম্বন করায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ ছিল।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
পূর্ব নির্ধারিত অনুযায়ী বুধবার স্থগিত সেন্টমার্টিনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন শেষে একটি কোস্টগার্ডের নৌ বাহন ও একটি ট্রলারের মাধ্যমে ফিরছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
কিছুক্ষণ আসার পর মোহনায় পৌঁছালে তাদেরকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের ওপার থেকে ৩০/৪০ টির মতো ফায়ার করে। এতে সবাই নৌ বাহনের পাটাতনে শুয়ে পড়ে এবং দ্রুত নৌ পথ পরিবর্তন করা হয়। তারপরেও ট্রলারে কয়েকটি বুলেটও এসে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ দুটি বাহনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৫ জন পুলিশ সদস্য, ৬ জন কোস্টগার্ড, একজন প্রিজাইডিং ৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৮ জন পোলিং কর্মকর্তা সহ অন্যরা ছিলেন।
সেন্টমার্টিন ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, অল্পের জন্য আমাদের প্রাণ রক্ষা পাই
দুটি বাহন করে প্রায় ২৫ জনের একটি টীম নির্বাচন পরিচালনা শেষে সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সাগরের মোহনায় পৌঁছালে ১৫/২০ ফায়ার গুলি ছুড়ে আরাকান আর্মিরা। নীচে শুইয়ে যাওয়াতেই প্রাণে বেঁচে যায়। সেই সাথে নৌ পথ পরিবর্তন করাতেই নিরাপদে চলে আসি। এখনো ভীতসন্ত্রস্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসান গুলি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।