
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন জৈন্তাপুরের আব্দুল জলিল
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোঃ আব্দুল জলিল। সর্বশেষ গেজেটে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সহ এলাকাবাসী সবাই খুশি। বিশেষ করে মোঃ আব্দুল জলিল ও তাঁর পরিবার প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজসহ আবেদন করেন। অতপর দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সর্বশেষ গেজেটে তিনি স্বীকৃতি পান।
২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বরের সর্বশেষ গেজেটে (গেজেট নং-৪৮৬৪) মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় মোঃ আব্দুল জলিলের নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায়ও তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
মোঃ আব্দুল জলিল ১৯৫২ সালের ১৩ মে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত লকিয়ত উল্লাহ ও মাতার নাম মৃত পরশা বিবি। মোঃ আব্দুল জলিল ১৯৭১ সালে তিনি দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের মেঘালয়ের ইকেওয়ানে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মেজর মীর শওকত আলীর নেতৃত্বাধীন ৫নং সেক্টরে যোগদেন। এই সেক্টরে তাঁর সহ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী (গেজেট নং-৩৬৭৬), আহামদ আলী (গেজেট নং-৩৯৫৭), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জয়ন্ত কুমার সেন (গেজেট নং-৩৯৯৩), ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুর রশিদ (৩৭৯৩)। তাদের সাথে তিনি কাধে কাধ মিলিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধো করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল জলিলের ছেলে মাছুম আহমদ বলেন, এত বছর পর আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন এটা কত যে আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।
৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পেয়ে আবেগ আপ্লূত কন্ঠে মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, আমি ভেবেছিলাম মৃত্যুর আগে হয়তো মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাবোনা। স্বাধীনতার এত বছর স্বীকৃতি পেয়েছি এরজন্য জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সেই সাথে যারা আমার এই স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমি অসুস্থ এজন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।